জ্বর হওয়ার কারণ কী ? জ্বর হলে কি মাথা ব্যথা করে ? চিকিৎসা ও ঔষধ সেবন


জ্বর যা সকল মানুষের শরীরেই থাকে কিন্তু সেটা তাপমাত্রা অনুযায়ী। হঠাৎ প্রকৃতির পরিবতন ,অতিরিক্ত ঠান্ডালাগা ,ঠান্ডা খাবার ও পানি পান করা এবং বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের কারণে শরীরে জ্বরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় এবং মানুষ অসুস্থ হয়ে পরে। জ্বর-যা শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ও নিয়ন্ত্রনের মধ্যে থাকলে খুব সহজেই সামান্য ঔষধ সেবন ও ঘরোয়া  চিকিসৎসার মাধ্যমে জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। তবে যদি শরীরে তাপমাত্রার প্রভাব অতিরিক্ত বেড়ে যায় ও ২-৩ দিনের মধ্যে জ্বর না কমে যায় তাহলে নিকটস্থ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করা করা উচিত। কোন অসুখ কেই ছোট ভাবে দেখা উচিৎ নয় কারণ ছোট খাটো বিষয় গুলোতে ভালোভাবে মনোযোগ না দিলে 'সে বিষয় টি অনেক বড় আকার ধারণ করতে পারে। আপনি যদি একজন জ্বরের রোগী হন ,এবং যদি আপনার চিকিৎসা বন্ধ রাখেন তাহলে আপনার জ্বর আস্তে আস্তে (টাইফয়েড) এর দিকে অগ্রসর হতে পারে। তাই নিয়ম মেনে ডাক্তারের কথা অনুযায়ী  চিকিৎসা নেওয়ার কথা কখনোই ভুলবেন না 

জ্বর হলে কি মাথা ব্যথা করে

হ্যা ,শরীরে অতিরিক্ত জ্বরের প্রভাবে মাথাব্যথা করতে পারে। এছাড়াও হালকা সর্দি লাগা ,অস্থিরতা ,খাবারের প্রতি রুচি ও চাহিদা কমে যেতে পারে। তাই অতিরিক্ত জ্বর হলে এবং মাথাব্যথা করলে (প্যারাসিটামল ও ক্যাফেইন যুক্ত) ঔষধ সেবন করা প্রয়োজন এছাড়াও ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ জরুরি। ডাক্তাররের কাছে আপনার সমস্যার ও অসুস্থতার কথা খুলে বলুন তাহলে ডাক্তার আপনাকে দ্রুত সুস্থ করার জন্য চিকিৎসা শুরু করবে।

চিকিৎসা ও ঔষধ সেবন

জ্বর নামটি ছোট হলেও বিষয়টি ছোট ভাবে দেখা উচিৎ নয়। কারণ ছোট বিষয় থেকেই " বড় বিষয়ের সৃষ্টি হয়। তাই ডাক্তারের নিয়ম অনুযায়ী চিকিৎসা করা প্রয়োজন। যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা হয় তাহলে আরো বিভিন্ন রোগের বংশ বিস্তার হওয়া শুরু হতে পারে। ঝুঁকি থাকতে পারে আপনার আরো কোনো বড় রোগ ব্যাধির। তাই সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের পদক্ষেপ নিন। নিজে নিজে ডাক্তারি করবেন না 'যদি নিজেই নিজের চিকিৎসা করা যেতো তাহলে ডাক্তারের কোনো প্রয়োজন ছিলোনা। ডাক্তারের নিয়ম ও চিকিৎসার বাহিরে ঔষধ সেবন করবেন না,এতে আপনার শরীর স্বাস্থ ও জীবনের প্রতি অনেক বড় সমস্যার আসংখা সৃষ্টি করতে পারে। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া যা সাধারণ চোখে দেখা যায়না ,কিন্তু ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া আক্রমণের কারণে আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন ও সেটি অনুভব করতে পারেন। চিকিৎসা ও ঔষধ সেবন করার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

ঔষধ সেবন

আমরা আপনাকে প্রথমেই বলবো যে " যদি আপনার খুব বেশি জ্বর হয় তাহলে আপনি প্রথমেই ডাক্তার দের পরামর্শ নিন। ডাক্তার দের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন খুবই ভয়াভয়। তাছাড়াও আপনি যখন ডাক্তারকে আপনার জ্বরের সমস্যার কথা জানাবেন তখন "ডাক্তার আপনার জ্বরের তাপমাত্রা অনুসন্ধান করবে এবং আপনার শরীরের তাপমাত্রা অনুযায়ী আপনাকে ঔষধ সেবন করতে বলবে বা আপনার সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করবে। অন্যথায় আপনি যদি কোনো কারণে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যার্থ হন এবং  আপনার যদি জ্বরের পরিমান হালকা ও স্বাভাবিক মনে হয় তাহলে প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ সেবন করতে পারেন যেমনঃ (প্যারাসিটামল ,নাপা ,নাপা -এক্সট্রা ,এইচ ,এইচ - প্লাস,পাইরিনল,ডুয়েট) ইত্যাদি এইসব ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন। 

এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া জ্বরের জন্য এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করা থেকে দূরে থাকুন। সাবধান "আমরা আপনাকে বার বার এই পরামর্শ দেই যে " দয়া করে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করবেন না। কারণ এন্টিবায়োটিক ঔষধ অনেক শক্তিশালী হয়ে থাকে। ডাক্তারদের তথ্য ও কথা অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে " (এন্টিবায়োটিক ঔষধ কোনো নির্দির্ষ্ট রোগের জন্য কাজ করে থাকেনা, কিন্তু এন্টিবায়োটিক ঔষধের সাথে চিকিৎসার জন্য যে ঔষধ দেওয়া হয়ে থাকে সেই ঔষধের আরো শক্তি বৃদ্ধির জন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে) কি বুঝতে সমস্যা হচ্ছে কোনো ব্যাপার না-Techbnnews টিম আছে আপনার পাশে আপনি শুধু একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

মনে করুন

[প্যারাসিটামল+এন্টিবায়োটিক]
প্যারাসিটামল=৫০০ মিলি,গ্রাম
এন্টিবায়োটিক=৫০০ মিলি,গ্রাম
একটি প্যারাসিটামল ট্যাবলেটের সাথে যখন একটি এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট দেওয়া হয় তখন এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট টির শক্তি প্যারাসিটামল পায়। কিছুক্ষনের জন্য মেনে নিন যে আপনি ঔষধ সেবন করতেছেন (প্যারাসিটামল ৫০০ মিলি,গ্রাম এবং সেই সাথে একটি এন্টিবায়োটিক=৫০০ মিলি,গ্রাম)তার মানে আপনি ১০০০মিলি,গ্রাম ওষধ সেবন করলেন) তাহলে শক্তিতো ২গুন্ হবেই। যার ফলে সহজেই বোঝা যায় যে "যখন কোনো ওষধের নিজ শক্তি ব্যতীত আরো শক্তির প্রয়োজন হয় তখন তার শক্তি বৃদ্ধির জন্য এন্টিবায়োটিক ঔষধের শক্তি যোগ করা হয়।  এবং এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট শুধু প্যারাসিটামল টেবলেট এর সাথেই নয় " এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট আরো অনেক ঔষধের সাথে ব্যবহার করা যায়। তবে প্রতিটি ভিন্ন চিকিসৎসার জন্য ভিন্ন গ্রূপের এন্টিবায়োটিক ব্যবহার প্রযোজ্য।

সতর্কতাঃ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া শুধু (এন্টিবায়োটিক) ঔষধি নয় "এন্টিবায়োটিক ব্যতীত যে কোনো ঔষধ সেবন আপনার জীবনের জন্য অনেক ঝুকিপূর্ণ। তাই আমরা আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন ও গ্রহণ করতে নিষেধ করি। দয়া করে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনি ঔষধ সেবন করুন এবং সুস্থ জীবন - যাপন পালন করুন।

Post a Comment

Post your comments here, please note that no spam comments other than the post Tech bn news does not condone any spam comments

Previous Post Next Post