পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ নেই যে বলতে পারে "আমার কোনো মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা নেই। প্রত্যেক বেক্তিরই কিছু না কিছু মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা আছে কিন্তু তারা সে বিষয় গুলো গোপন রেখে দেয়।মানুষের মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা শুরু হয় বিভিন্ন কার্যকলাপ ,যোগান ,চাহিদা ,ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে যা মানুষের জন্য অনেক প্রয়োজনীয়।
কিন্তু অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা করা "মানুষের জন্য অনেক ক্ষতির প্রভাব বয়ে আনে। তাই নিজের মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণ নিজেকেই করা শিখতে হবে। বর্তমান সময়ে মানুষ সামান্য ছোট খাটো বিষয়ের উপর অনেক বেশি মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা নিয়ে থাকে "যার কারণে মানুষ তাড়াতাড়ি হয়ে যায় "অসুস্থ" আবার "অসুস্থ" হওয়ার পরে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা তাদের আরো বেড়ে যায় এই ভেবে যে "এখন সে কিভাবে হবে সুস্থ। আর মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা এভাবেই শুরু হতে থাকে।মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্য মানুষের কি করা উচিৎ সে সম্পর্কে আরো নিচে পড়তে থাকুন
মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্য ৭টি সহজ উপায়।
- ১। নিয়মিত বই পড়া
- ২। নিয়মিত লেখা লেখি করা
- ৩। নিয়মিত ঘুম দেওয়া
- ৩। মেডিটেশন বা ধ্যান করা
- ৪। সবসময় হাঁসি খুশি থাকা
- ৫। পরিবারের সাথে সময় দেওয়া
- ৭। কাজের প্রতি দুশ্চিন্তা না করা
বই পড়া
নিয়মিত বই পড়ার চেষ্টা করুন বই পড়লে আপনার মনোযোগ শিক্ষার দিকে থাকবে আপনি অর্জন করতে পারবেন জ্ঞান ও শিক্ষা ,দূরে চলে যাবে আপনার মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা,যা আপনার মস্তিষ্কের জন্য অনেক ভালো প্রভাব ফেলবে তাই নিয়ম মেনে নিয়মিত বই পড়তে থাকুন। আর বই পড়ার সময় একা থাকায় ভালো, কারণ একাকিত্ব সময় বই পড়লে আরো বেশি মনোযোগী হয়ে ওঠা যায়।
লেখা লেখি করা
মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত লেখা-লেখি করুন। যা আপনার মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করবে। নিজের মনের কথা গুলো "ডাইরীর পাতার" সাথে ভাগ করুন। আপনার কোনো ক্ষতি হবে না তবে উপকার হবে। আপনি যে সমস্ত গোপন কথা কারো সাথে ভাগাভাগি করতে পারেননা সে কথাগুলো ডাইরীর সাথে ভাগাভাগি করুন "এতে আপনার মন হালকা হবে এবং মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকে অনেকটা মুক্তি লাভ করবেন। ওপর দিকে আপনার হাতের লেখাও অনেক সুন্দর হবে।
নিয়মিত ঘুম
নিয়মিত ঘুম দিন ,ঘুম দেওয়ার ফলে আপনার ক্লান্ততা দূর হবে। মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকে আপনি থাকবেন অনেক দূরে। ঘুম মানুষের মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমানোর জন্য অনেক উপযোগী। আপনি ঘোমানোর ফলে আপনার মস্তিস্ক থাকবে ঠান্ডা , মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা যা আপনি জাগ্রত থাকা অবস্থায় আপনার উপর প্রভাব ফেলে -ঘুমিয়ে থাকার সময় নয়। ভালো ভাবে ও তারাতারি ঘুম আসার জন্য "নরম বালিশ" ও নরম বিছানায় শুয়ে পড়ুন তাতে আপনার অতি দ্রুত ঘুম আসার সম্ভবনা থাকে। শোয়ার পরে কোনো কোনো দুশ্চিন্তা করবেন না। আল্লাহর সৃষ্টি ও প্রকৃতিকে নিয়ে ভাবুন যা আপনার ঘুমের জন্য অনেক কার্যকর হবে।
মেডিটেশন বা ধ্যান করা
মেডিটেশন বা ধ্যান করলে মানুষকে তার মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা থেকে অনেক টা মুক্তি দান করে। বিশেষজ্ঞ রা এটা বলে যে নিয়মিত মেডিটেশন বা ধ্যান করলে মানুষ তার মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তার প্রতি আসক্ত কম হয়ে থাকে ,দূর করে মানুষের ক্লান্ততা ও হতাশা ,শুধু তাই নয় এছাড়াও বেড়ে যায় মানুষের রোগ - প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাই আপনার মস্তিস্ক থেকে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমানোর জন্য আপনি মেডিটেশন বা ধ্যান করতে পারেন। মেডিটেশন বা ধ্যান করার জন্য একটা ভালো নিরিবিলি পরিবেশ খুজুন। যেখানে আপনাকে কেউ বিরক্ত করবেনা ,মেডিটেশন বা ধ্যান করার সময় লক্ষ রাখুন পরিবেশের উপর। এমন কোনো পরিবেশে মেডিটেশন বা ধ্যান করতে যাবেন না যেখানে আজেবাজে শব্দ এবং আওয়াজ আসে। মেডিটেশন বা ধ্যান করার জন্য একটা নিড়িবিড়ি ও স্তব্ধ পরিবেশ সফল ভাবে "ধ্যান" শেষ করতে সাহায্য করে।
সবসময় হাঁসি খুশি থাকা
সবসময় হাঁসি খুশি থাকার চেষ্টা করুন। মানুষের হাঁসি ও খুশি প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা করে থাকে তাঁদের মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তার সাথে। হাঁসি খুশি থাকলে মানুষের মন প্রফূল্ল থাকে। একটু লক্ষ করে দেখবেন "আপনার যদি একজন ভালো বন্ধু থাকে তার মন যদি খারাপ হয়ে থাকে" আপনি যদি তাকে প্রশ্ন করে থাকেন "তোমার মন খারাপ কেন "সে তখন তার সমস্যার কথা জানবে এবং তাঁর সমস্যার কথা শোনার পরে আপনাকেও একটু তাঁর প্রতি দুর্বল লাগবে" ফলে সেই সময় টুকু আপনিও মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তার সাথে সংযুক্ত হবেন। ওপর দিকে আপনার বন্ধু যদি খুব হাসিখুশি ও আনন্দিত থাকে "তাহলে তার সাথে সঙ্গ দেওয়ার কারণে তাঁর হাসিখুশীর কারণ গুলো সে আপনার সাথে ভাগাভাগি করবে "ফলে আপনিও হাসিখুশি ও আনন্দিত থাকবেন আর আপনার মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা সেই মুহূর্তে দূরে চলে যাবে আর আপনি থাকবেন মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা মুক্ত। তাই সবসময় হাঁসি খুশি থাকার চেষ্টা করুন।
পরিবার ও আপনজনকে সময় দেওয়া
আপনার পরিবার ও আপনজনের প্রতি সময় দিন। সকলের সাথে মিলে মিশে আনন্দ করুন। নিজের বিভিন্ন দুশ্চিন্তার কথা তাদের সাথে ভাগাভাগি করুন। এতে আপনার মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা হালকা হবে এবং সমাধান হয়ে যেতে পারে দুশ্চিন্তার কারণ। তাই আপনার পরিবার ও আপনজনদের সাথে যথেষ্ট সময় কাটান। আপনার দুশ্চিন্তার কথা আপনার পরিবারকে মন খুলে বলুন "যাতে তারা সকলেই আপনার মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তার কারণটি বুঝতে পারে এবং আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
কাজের প্রতি মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা
জীবনে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ কোনো না না কোনো কাজের সাথে সংযুক্ত থাকে। আর সেখান থেকে সে বিভিন্ন উপায়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। আর সেই কাজের প্রতি যখন "মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা" শুরু হয়ে যায় তখন সে স্বাভাবিক ভাবে ভেঙ্গে পরে ও নিজের দায়িত্বর প্রতি শুরু হয় অবহেলা। কাজের প্রতি মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমানোর জন্য মনোযোগ সহকারে কাজ করা উচিৎ ,ছোট খাটো বিষয়ে বেশি চিন্তা না করাই ভালো ,সময়ের কাজ সময়ে শেষ করার দরকার ,কাজের সময় কাজ ব্যতীত পরিবার বা আপন জনকে নিয়ে বিভিন্ন চিন্তা না করারই ভালো ,কাজের সামনে বসে কাজ না করে বাহিরের চিন্তা করলে কাজের প্রতি মনোযোগ কমে যায় এবং কাজের প্রতি দুর্বলতা শুরু হয়।