দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে "সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি"ছোট থেকে শুরু করে যে কোনো বয়সের মানুষ ব্যবহারে লিপ্ত হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে।বেড়ে যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আসক্তি,ব্যবহার করা হচ্ছে - সামাজিক যোগাযোগ মাধমের অপব্যবহার ,নষ্ট করা হচ্ছে মূল্যবান সময় ,প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলুনায় শিশু-কিশোর রা সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি বেশি আসক্তি হচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি বেশি আসক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে (স্মার্টফোন) বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটি ব্যক্তির হাতে হাতে হয়ে গেছে স্মার্টফোন। বাংলাদেশে একজন সু - নাগরিক হতে হলে (১৮ বছর)বয়স হতে হয় কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারের সময় ভুল জন্ম তারিখ উল্লেখ করে নিবন্ধন করা হচ্ছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফ্রমে। নিজেকে সমাজে প্রকাশিত করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে নুতুন নুতুন ছবি ,ভিডিও ,এবং বিভিন্ন খবর দ্বারা। এখন আর কোনো সিনেমা হলে গিয়ে টিকিট নিয়ে সিনেমা দেখার প্রয়োজন হয়না ,Facebook,Youtube য়ের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট গুলোতে মাত্র ১টা ক্লিক করেই দেখা যায় নিজের পছন্দের সিনেমা।
সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি হওয়ার একটি মূল কারণ হলো "প্রতিদিন নুতুন নুতুন বন্ধুদের সাথে মিলিত হওয়া ও নুতুন বন্ধু তৈরী করা। প্রয়োজন ছাড়া অপ্রয়োজনে কথা বলা হচ্ছে -বিভিন্ন ভয়েস ,কল ,বার্তা ,ভিডিওর মাধ্যমে। এর প্রভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয় ,এখন বিভিন্ন প্রকার (মোবাইল গেমস এপ্লিকেশন ) গুলো ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার।
উল্লেখ করা হচ্ছে "এই এপ্লিকেশন চালানোর জন্য আপনার ১টি সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টের অবহিত করুন" যদিও প্রত্যেকটি ওয়েবসাইট ,এপ্লিকেশনের গোপনীয়তা ও শর্তাবলী রয়েছে।কিন্তু সেই পরিষেবার দ্রুত ব্যবহারের জন্য এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে গোপনীয়তা ও শর্তাবলী। একটি স্মার্টফোন একজন ব্যক্তির জন্য অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বর্তমান সময়ে হাতের মুঠোই একটি স্মার্টফোন থাকা মানে পৃথিবীটা হাতের মুঠোই পাওয়া। তাই এই ডিভাইস ও পরিষেবা সকলেই ব্যবহার করার জন্য আগ্রহী প্রকাশ করে। সোশ্যাল মিডিয়া একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যা ব্যবহাররের জন্য প্রত্যেকটি ব্যক্তির অধিকার রয়েছে "তার মানে এটা দাঁড়ায়না যে "নিজের কাজ ,কর্ম ,লেখাপড়া ,ব্যবসা - বাণিজ্য " সব বন্ধ করে সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি হওয়া।তাই প্রত্যেকটি কাজের জন্য নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধ রাখা উচিৎ
৬ টি সোশ্যাল মিডিয়ার নাম
এখানে ৬ টি সোশ্যাল মিডিয়া নাম উল্লেখ করা হয়েছে যা সর্বাদিক জনপ্রিয় এবং প্রতিদিন অসংখ মানুষ ব্যবহার করে থাকে।
- Youtube
এই ওয়েবসাইট গুলো ব্যতীত আরো অসংখ্য সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট রয়েছে "যা ব্যবহারকারীরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসিবে। তবে এক একটি সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট বিভিন্ন দেশের জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করে নিতে পারে। এবং ব্যবহারকারী আলাদা স্থান থেকে ব্যবহারে সক্ষম।
সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি এড়াতে করণীয়
মানব সমাজে সোশ্যাল মিডিয়া এমন একটি প্রভাব ফেলেছে যা থেকে দূরে থাকা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু তাঁর পর ও সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি অতিরিক্ত আসক্ত হওয়া যাবেনা। সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি এড়াতে ১টি বিষয় বার বার মনে রাখুন তা হলো "সময়ের মূল্য" আপনার সময়ের মূল্য দিতে শিখুন। আরো সহজ ভাবে বোঝার জন্য এই বিষয় গুলো অনুসরণ করুন সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি কমে যেতে পারে
সময়ের মূল্য
সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি এড়িয়ে যেতে আপনার মূল্যবান সময়ের প্রতি নজর দিন "ভাবুন আপনি নিজের অজান্তেই কতটা সময় নষ্ট করতেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। আপনার সময়ের মূল্য আপনাকেই বুঝতে হবে অন্য কেউ আপনার সময়ের মূল্য বুঝবে না। তাই আপনার নির্দিষ্ট কাজের পর অতিরিক্ত সময় টুকুই সোশ্যাল মিডিয়াই ব্যবহার করুন। আপনি আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করতেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সময় ভাবুন যে আপনার সময়ের মূল্য আছে।
নিয়মিত বই পড়ুন
বই পড়লে মানুষের মেধা বিকাশ বৃদ্ধি পায় এবং অধিক জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হয়। তাই আপনার প্রতিদিনের কার্যক্রম গুলোর তালিকার মধ্যে "বই " রাখুন সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে না তাকিয়ে "বই পড়ার " পড়ার জন্য মনোযোগী হয়ে উঠুন। আপনি যদি একজন ছাত্র বা ছাত্রী হয়ে থাকে তাহলে আপনার লেখা পড়ার বিষয়ে আগ্রহ বেশি তৈরী করুন। মনে রাখুন "যে বই আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়া পর্যুন্ত পোঁছে দিয়েছে তাকে মোটেও ভুলে যাওয়া উচিৎ নয়" তাই নিয়মিত সময় করে সেই সকল বই পড়ুন যা থেকে আপনি অনেক মূল্যবান জ্ঞান অর্জন করতে পারেন। এছাড়াও গল্প ,উপন্যাস ,নাটিকা ,কবিতা সহ জীবনী ,বিষয়ে আপনার পছন্দের বই পড়া শুরু করুন। বই পড়ার মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি কমিয়ে ফেলা সম্ভব।
চিন্তাবিদ হয়ে উঠুন
সামাজিক কার্যকলাপ ছাড়াও সকল বিষয়ে চিন্তাবিদ হয়ে উঠুন। অনুসরণ করুন সেই ব্যক্তিদের -যাদের কথা সারাজীবন অমৃত। অনলাইন ছাড়াও বাস্তব জীবনে আপনার এলাকার জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে চলাফেরা করার চেষ্টা করুন যাদের কাছে আপনি হাজারো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে পারেন। ভালো কাজের জন্য আপনার মেধা সঞ্চালন করুন। নুতুন কিছু তৈরী বা আবিষ্কার করার চেষ্টা করুন। কিভাবে ব্যক্তি ও সমাজের উন্নতি করা যায় সে বিষয়ে চিন্তাবিদ হয়ে উঠুন।
আপন জনকে সময় দিন
শুধু সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধু-বান্ধব কে নয় "আপনার আপন মানুষ গুলোকেও সময় দেওয়া উচিৎ। সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধু-বান্ধব আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ার দিকেই আসক্ত করে তুলবে" কিন্তু আপনার পরিবারের মানুষ আপনাকে কখনোই সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে আসক্ত করবে না। পরিবার আত্মীয় স্বজনের সাথে থাকার সময় হাসি খুশি আর ভালো ভাবে থাকার চেষ্টা করুন।আপনার সময় গুলো ভালো ভাবে কেটে যাবে এবং আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি থেকে দূরে থাকবেন।
খেলা ধুলা করুন
নিয়মিত খেলাধুলা করুন খেলাধুলা করলে আপনার শরীর ও মন ভালো থাকবে। আপনি থাকবেন সুস্থ "সেই মুহূর্তে ভুলে যান আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে পরিচিত। খেলাধুলা করার সময় নিজেকে শুধু মাত্র খেলা ধুলার সাথে অগ্রসর করুন। আমরা জানি যে "যখন যে কাজই করিনা কেনো সে কাজের প্রতি মনোযোগ দেওয়া টা একজন বুদ্ধিমানের কাজ। যাই হোক "আমরা মনে করি বিনা কারণে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আসক্ত না হয়ে সেই সময় টুকু খেলাধুলার পেছনে নষ্ট করাটাই ভালো। তার মানে এটা নয় যে আপনি আবার "খেলাধুলার প্রতি আসক্ত হয়ে ওঠেন। মনে রাখুন "প্রত্যেক টি কাজকে একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া ও নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা উচিৎ।
বিশেষ দৃষ্টি
উপরে উল্লেখিত বিষয় গুলোতে মনোযোগ দিন। আমরা আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ার আসক্তি থেকে বাঁচার জন্য এই তথ্য উপাস্থাপন করেছি। তাঁর মানে এটা নয় যে "আমরা আপনাকে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বন্ধ করতে বলছি। আপনি সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করতে পারেন আপনার প্রয়োজনীয় কাজে। যেমনঃ শিক্ষা ,খবর ,কেনাকাটা ,বন্ধুবান্ধবের সাথে কথোপকথন ইত্যাদি কিন্তু এর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা উচিৎ বলে মনে করে টেকবিএন নিউজ টিম। আপনি আপনার সন্তান কে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার শিখাতে পারেন সামাজিক ও ভালো দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করে। আমরা আসা করি যে আপনি কখনো সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার করবেন না। এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারে কাউকে সাহায্য বা উৎসাহিত করবেন না। সোশ্যাল মিডিয়া-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যা ব্যবহার করার অধিকার সকলেরই রয়েছে। পরিশেষে আমরা আপনাকে শুধু এটাই বলতে চাই যে "প্রত্যেক কাজই সীমাবদ্ধতার সাথে করা উচিৎ।
যদি এই পোস্ট টি আপনার ভালো লাগে তাহলে ভাগাভাগি করুন সমাজের সাধারণ মানুষের নিকটে। সচেতন করুন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আসক্ত হওয়া মানুষ গুলোকে। এবং সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতি আসক্তি সম্পর্কে আপনার মতামত কি? তা জানিয়ে দিন "কমেন্টের " মাধ্যমে। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে "ধন্যবাদ "