চাঁদে মানুষের বসবাস ও জায়গা ক্রয় বিক্রয় সম্পর্কিত বিভ্রান্তকর প্রশ্ন গুলোর সাথে সম্পর্কিত আজগের এই পোস্ট।বর্তমান সময়ে মানুষের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে যে চাঁদের ভিতরে নাকি মানুষ বসবাস করার জন্য প্রুস্তুত ও ইতিমধ্যে জায়গা কিনা শুরু করে দিয়েছে।বিষয়টি একটু হাস্যকর যাইহোক আবার আগে থেকেই আন্দাজ করতেছে
চাঁদের মধ্যে কত জন মানুষ বসবাস করতে পারবে ইত্যাদি এই ধরণের প্রশ্ন গুলোকে উপেক্ষা করে আজ আমরা আপনার বিভ্রান্ত দূর করার চেষ্টা করবো
space centre)সোলার সিস্টেমের তথ্য অনুসারে চাঁদের মধ্যে যদি এক এক জন মানুষ 1 বর্গ মিটার নিয়ে দাঁড়িয়ে বা বসে থাকে তাহলে চাঁদের ভিতর প্রায় 38 বিলিয়ন মানুষের জায়গা উপযুক্ত
চাঁদে কি মানুষ বসবাস করতে পারে?
How possible নাসা টেকনোলজির তথ্য অনুসারে চাঁদ জীবনকে আশ্রয় করে না এবং এখন পর্যুন্ত যত নমুনা পাওয়া গেছে তাঁর মধ্যে চন্দ্রের জীবন পাওয়া যায় নি তাহলে কিভাবে চাঁদে মানুষ তাঁর বসতি তৈরী করবে।চাঁদে বসবাস করা পৃথিবীর মতো এতো সহজ নয় কারণ চাঁদে রয়েছে বিষাক্ত ধূলিকণা যা সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই করে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
এমন কি অ্যাপোলো ১৭ নভোচারীরা অভিযোগ করেছিলেন যে ধূলোকনা তাঁদের চোঁখের জল সৃষ্টি করেছিল এবং প্রচন্ড গলা ব্যাথা করতেছিলো তাই চাঁদ মানুষের বসবাসের জন্য উপযুক্ত জায়গা হতেই পারেনা। সাধারণ মানুষের জীবন বেঁচে রাখার জন্য প্রয়োজন একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ,পানি ,খাবার ,যেগুলো চাঁদের মধ্যে পাওয়া অনেক কষ্টকর
যদিও চাঁদে অক্সিজেন রয়েছে কিন্তু পাতলা এবং বেশিরভাগ হাইড্রোজেন, নিয়ন এবং আর্গন দ্বারা গঠিত কিন্তু এটি এমন বায়বীয় মিশ্রণ নয় যা মানুষের মতো অক্সিজেন-নির্ভর স্তন্যপায়ী প্রাণীকে ধরে রাখতে পারে
চাঁদে জায়গা কেনা ও বাড়ি তৈরী
চাঁদ এবং অন্যান্য মহাকাশ সহ সার্বভৌমত্বের দাবি ব্যবহার বা দখলের মাধ্যমে বা অন্য কোনও উপায়ে জাতীয় অধিকারের সাপেক্ষে নয়।চাঁদের ভিতরে একটি বাড়ি তৈরির বিষয়টি স্বপ্নের মতো কারণ বিশ্বের বাহিরে একটি ঘর তৈরী করতে হলে কমপক্ষে ৬০ মিলিয়ন ডলার খরচা করতে হতে পারে।
ইউকে ফাইন্যান্স সাইট Money.co.uk দ্বারা পরিচালিত এই সমীক্ষা অনুসারে
কাজ শুরু করার জন্য চাঁদে উপকরণ, সরঞ্জাম এবং শ্রমিক আনতে কী খরচ হবে তা অনুমান করার জন্য SpaceX-এর ব্লাস্টঅফ ওজন মূল্য ব্যবহার করে।অবস্থানের উপর নির্ভর করে খরচ প্রতি একর মাত্র ২০ ডলার থেকে প্রায় ১৩০ ডলার পর্যন্ত।
এছাড়াও 1967 সালের আউটার স্পেস চুক্তি রয়েছে, যা সদস্য দেশগুলিকে অফ-ওয়ার্ল্ড সার্বভৌমত্ব দাবি করা থেকে নিষিদ্ধ করে, তাই সম্পত্তির অধিকারগুলি কীভাবে কাজ করবে তা অবিলম্বে স্পষ্ট নয়।
আসা করি বুঝতে পেরেছেন চাঁদে জায়গা কেনা ও বাড়ি তৈরী করাটা কোনো সহজ বিষয় নয় তবে ২০২৭ সালের মধ্যে চাঁদের মধ্যে নতুন কিছু সৃষ্টি হতে পারে এই মুহূর্তে আর কোনো আপডেট নেই যদি আমরা চাঁদে জায়গা কেনা ও বাড়ি তৈরী সম্পর্কিত নিউজ পাই তাহলে অবশ্যই তা শেয়ার করবো।