অনলাইন গেমস Vs ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা কোনটা বেশি প্রয়োজনীয় হতে পারে।

আজগের এই পোস্টটি সকলের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন্য। আমরা মনে করি ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সকলের ই এই পোস্টটিতে মনোযোগ দিয়ে পড়া প্রয়োজন।বর্তমান সময়ে এমন কোনো ব্যক্তি জোর দিয়ে বলতে পারেনা যে "আমার বাসায় একটি স্মার্ট ফোন নেই এবং আমার পরিবার থেকে কেউ অনলাইন গেমসের প্রতি আসক্ত নয়। ধরুন  ১০০ শতাংশের মধ্যে ৬৭ শতাংশ মোবাইল ব্যবহারকারী অনলাইন গেমসের প্রতি আসক্ত এবং তাদের মধ্যে বেশিরভাগই ছাত্র ও ছাত্রী। আর বাকি ৩৩ শতাংশ ব্যবহারকারী তাদের বিভিন্ন কাজে যুক্ত। একটা ছোট বাস্তব ঘটনা - দয়া করে এই অংশ টুকুতে ভালোভাবে মনোযোগ দিন। Techbnnews টিমের এক সদস্যর বক্তব্য অনুযায়ী কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো:

Garena Free fire Story

একদিন  সে একা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলো "এমন সময় কেউ একজন উচ্চস্বরে বলে উঠলো (ধরো ,মারো ,প্যান্ট খোলো ,প্যান্টটা পরিবর্তন করো,রিভাইভ দাও) তখন সে একটু অবাক হয়ে নিজের প্যান্টটাকে দেখা শুরু করলো" কিন্তু তার প্যান্টটা ঠিক ঠাক ছিল,তখন সে একটু -মাথা উঁচু করে রাস্তার চারপাশে দেখা শুরু করলো, কিন্তু কোনো অতিরিক্ত মানুষকে দেখতে পেলোনা। রাস্তার পাশে শুধু মাত্র একজন ১৬ থেকে ১৭ বৎসর বয়সের যুবক ছেলে মোবাইল হাতে নিয়ে বসে আছে। তখন সে যুবকটির কাছে পোঁছালো। এবং যুবক কে বললো-কার কি হয়েছে। তখন সে যুবক প্রশ্নের উত্তর দিলো (কারো কিছু হয়নি - মামা) তখন সে তাকে বললো (তাহলে তুমি কার প্যান্ট খোলার কথা বললে। উত্তরে যুবক বললো "মামা -আমি ফ্রি ফায়ার গেমস খেলতেছি তাই বন্ধুদের কে বললাম (ধরো ,মারো ,প্যান্ট খোলো ,প্যান্টটা পরিবর্তন করো,রিভাইভ দাও) তখন সে একটু হেসে উঠে বললো তুমি লেখা পড়া করোনা "যুবক বললো হ্যা আমি লেখাপড়া করি। 

আমি এবার এস,এস,সি পরীক্ষা দিবো -তখন সে বললো তোমার এস,এস,সি পরীক্ষার আর কতদিন বাকি আছে। যুবক আবারো উত্তর দিলো আর উত্তরে বললো (মামা "আমার আর - এস,এস,সি পরীক্ষার জন্য মাত্র ১দিন সময় বাকি আছে) তখন সে তাকে "একটু ধমক" দিয়ে বললো (অতি দ্রুত মোবাইল টা বন্ধ করো এবং সোজা তুমি তোমার বাসায় যাও ,আর বই নিয়ে পড়তে বসো ,তোমাকে যেনো আমি এস,এস,সি পরীক্ষা শেষের আগে - মোবাইল দিয়ে ফ্রি ফায়ার গেমস খেলা না দেখি) তখন যুবক বললো - মামা ২ টা একটা পরীক্ষায় কিছু হবেনা - আমি ঠিকই পাস্ করবো এবং ভালো রেজাল্টও করবো,তাছাড়া আমার বই গুলো যে কোথায় আছে -আমি সঠিক জানি না,  তখন সে একটু রেগে গিয়ে বললো ঠিক আছে তুমি -এখান থেকে আগে চলে যাও তোমার রেজাল্ট পরীক্ষার পরই দেখবো। ইতিমধ্যে যুবক চলে গেলো ,আর  সে- সেখান থেকে একটু সামনের দিকে যাওয়া শুরু করলো।

একটু সামনে আসার পর দেখলো একটা দোকানে (৪জন) বসে আছে। তাদের মধ্যে ২জন একেবারেই ছোট এবং সকলেই ফ্রি ফায়ার গেমস খেলতেছে। মাঝে মাঝে কেউ হঠাৎ করে বলে উঠতেছে (হেড সুট করো) আর কেউ বলতেছে (গান স্কিন টা কাজ করতেছেনা) এসব দৃশ্য দেখার পর সে ছোট ২জনকে বললো "তোমরা কোন স্কুলে যাও, তখন একজন বললো আমরা (প্রাইমারি স্কুলে যাই) তখন সে  অবাক হয়ে আকাশের দিকে তাঁকিয়ে বললো - হে আল্লাহ এটা কি হচ্ছে। তুমি তো সবই উপর থেকে দেখতেছো -তাই কিছু একটা করো এবং এই বাচ্চাদের পিতা -মাতার জ্ঞান ও মেধা বৃদ্ধি করে দাও ,ও তাঁদের শরীরে শাসন করার মতো শক্তি দান করো - আমিন। আর এই সব বিষয় জানার পর -Techbnnews টিম এই পোস্ট টি  লিখতে শুরু করলো। এই পোস্টটিতে একদম সত্য ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। যদি আপনার বিস্বাস না হয় তাহলে (আপনার এলাকা ও সমাজের দিকে নজর দিন ভালোভাবে দেখুন দোকান ও Wifi সংযুক্ত স্থান গুলোতে) দেখতে পাবেন ঘরের বাহিরে কি হচ্ছে। একটু দেখুন আপনার সন্তান ও পরিবারের কেউ অনলাইন গেমসের প্রতি আসক্ত নয় তো ,ভাবুন (৪র্থ ও ৫ম ) শ্রেণীর ছাত্র ও ছাত্রীরা যদি Free Fire গেমসের প্রতি এতো আসক্ত হয়ে পরে তাহলে কি হবে এই সমাজের। ওপর দিকে একজন এস এস সি পরীক্ষার্থী লেখা পড়া বন্ধ করে বসে আছে মোবাইল নিয়ে  এবং তার বই গুলো কোথায় সে রেখেছে তাঁর সেটাও স্মরণ নেই,কি হবে এই যুব সমাজের এদের দ্বারা দেশের ও দেশের মানুষের কি কোনো উন্নতি হবে - নাকি ,হবেনা।  

তাই ছাত্র ছাত্রীদেরকে একটু বোঝানো ও শাসন করার একটু প্রয়োজন  আছে বলে মনে করি আমরা। যাই হোক বাস্তব তো এটাই যে -শাসনকর্তারা যদি হাতের কাছে পেয়েও শাসন না করে "সেখানে আমরা শুভাকাঙ্ক্ষীরা কি করবো আমাদের কিছুই করার নেই। তবে আমরা শুধু আপনাদের এটা বোঝাতে চাই যে "কর্ম যেমন করবেন ,ফলটাও তেমনই পাবেন। কর্মফল একটি এমন জিনিস যা সকলের ই পাওয়ার অধিকার রয়েছে - কিন্তু সকলে আদায় করে নিতে পারেনা।তাই আগে থেকেই সাবধান হয়ে যাওয়া ভালো - আমরা চাইনা সামান্য ভুলের জন্য কারো ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাক। একটু মনোযোগ দিয়ে ভাবুন তো "আপনার যদি লেখাপড়া না থাকতো-তাহলে আপনি কি এই পোস্ট টি পড়তে পারতেন। তাই আপনার সন্তানদের ভালোভাবে শিক্ষিত করে তোলার দায়িত্ব আপনার। ভুল করেও এটা মনে করবেন না যে - আপনার সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছেন ,বলে সব দায়িত্ব শিক্ষকের। মনে রাখবেন "প্রতিটি সন্তানের কাছে মা - বাবা একজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শিক্ষিকা। তারা যা শিখাতে পারে স্কুলের শিক্ষক তা শিখতে পারে না।

যদি এই পোস্টটি পড়ার পর আপনার বিন্দু পরিমান ভালো লাগে বা কোনো উপকারে আসে তাহলে-আপনি শেয়ার করতে পারেন আপনার বন্ধু ,বান্ধবদের সাথে এবং অনলাইন গেমস Vs ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা নিয়ে আপনার মন্তব্যঃ কী  তা উপাস্থাপন করতে পারে কমেন্টের মাধ্যমে। এছাড়াও যদি আমাদের সাথে আপনার যোগাযোগ করার প্রয়োজন হয় তাহলে নিজ দ্বিধাই আপনি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন 

সতর্কতাঃ অনুমতি ছাড়া এই পোস্টির কথা ও কনটেন্ট অনুলিপি করে ওয়েবসাইট বা বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার করা একটি অপরাধ জনক কাজ তাই দয়া করে এই বিষয়টি মনে রাখুন। তা না হলে আমরা আইন গত ভাবে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকিব,তাই দয়া করে আমাদের (শর্ত ও গোপনীয়তা) সম্পর্কে জানুন - আদেশ ক্রমে Techbnnews.com

Post a Comment

Post your comments here, please note that no spam comments other than the post Tech bn news does not condone any spam comments

Previous Post Next Post